পকেটে টাকা আছে কিন্তু ভাল ১টা ফোন কিনার ইচ্ছা থাকলেও, কেনা হচ্ছে না সাধের ফোনটা। যদি চুরি হয়ে যায় অথবা ছুরি ঠেকিয়ে নিয়ে যায় ছিনতাইকারী? তখন সব টাকা পানিতে ফেলে দেয়ার মতই হবে।
কি মুশকিল তাই বলে কি ফোন কিনব না? তা হবে না, তা হবে না। এর সমাধান বের করতেই হয়তো ইন্টারনেট এ ঘাটা ঘাটি করে কম্পিউটার উল্টিয়ে ফেলছেন। কিন্তু কোন লাভ হচ্ছে না। তাদের জন্যে আজকের এই পোষ্ট।
এখন সহজেই রক্ষা করতে পারবেন আপনার দামী ফোনটি। শুধুমাত্র একটি অ্যাপ ব্যবহার করে বাচুন চোরের হাত থেকে। অ্যাপটির নাম হচ্ছে লকওয়াচ-থিফ ক্যাচার। নাম থেকেই বুঝতে পারছেন আসলে এটি বানানো হয়েছে চোর কে ধরার জন্যে। চলুন জেনে নেই কিভাবে এই অ্যাপটি কাজ করে।
যখন আপনার ফোনে ভুল আনলক কোড প্রবেশ করানো হবে:
- সামনের ক্যামেরা ব্যবহার করে প্রবেশকারীর ছবি তুলে ফেলবে।
- জিপিএস এবং ওয়াই-ফাই ব্যবহার করে ফোন এর অবস্থান নির্ধারণ করবে।
- অবিলম্বে ফটো এবং অবস্থান আপনার ই-মেইল ঠিকানায় পাঠিয়ে দিবে।
- এটি সম্পূর্ণরূপে নীরব এবং অদৃশ্য। কোন সতর্কবার্তা ভুল আনলক কোড প্রবেশকারীকে দেখানো হবে না।
- তৃতীয় পক্ষের লক পর্দার কোন প্রয়োজন নেই. নরমাল লক পর্দা ব্যবহার করেই লক সেট করতে পারবেন।
- এটা প্যাটার্ন, পিন বা পাসওয়ার্ড লক পর্দা সঙ্গে কাজ করে।
- ব্যাটারির কোনো চার্জ কাটে না। অ্যাপ্লিকেশন শুধুমাত্র যখন ভুল আনলক কোড প্রবেশ করানো হয়, তখন সঞ্চালিত হয়।
মজার কথা হচ্ছে আপনি অ্যাপটি প্লে-ষ্টোর থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে ইন্সটল করতে পারবেন। আপনার কাজ হবে শুধু অ্যাপটি ইন্সটল করা, প্যাটার্ন, পিন বা পাসওয়ার্ড লক যেকোন একটি সেট করা। আর অ্যাপটির সেটিংস এ যে ই-মেইল এ তথ্য পাঠাবে তা সেট করা।ব্যস কাজ শেষ।
আপনি যদি চান অ্যাপটির প্রিমিয়াম সুবিধাগুলো ব্যবহার করতে, তাহলে আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হতে পারে। যেমনঃ চোর সিম কার্ড পরিবর্তন করল কি না? ফোন আনলক না করেই ফোন অফ করল কি না? একই সাথে পর পর ছবি তুলতে চাইলে ইত্যাদি।
এখন আর ফোন চুরি বা ছিনতাই এর ভয় আছে কি? আমার তো আর নেই। কারন আমি ইতিমধ্যে অ্যাপটি ইন্সটল করে সব কিছু সেট করে ফেলেছি। এত রিস্ক নিতে পারব না বাবা। আপনারটা আপনার ইচ্ছা ইন্সটল করবেন কি না। কিন্তু আমার লেখা গুলো যদি ভাল লাগে তবে অবশ্যই অবশ্যই পোষ্টটি লাইক, শেয়ার ও টুইট করতে ভুল্বেন না যেন। ধন্যবাদ।