পবিত্র কুরআনের অনেক যায়গায় মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন তিনি শিরক কারীকে কখনো ক্ষমা করবেন না। এছাড়া তিনি ছোট ছোট পাপ তিনি চাইলে ক্ষমা করে দেবেন। বড় বড় গুনাহ গুলোর মধ্যে শিরক হচ্ছে অন্যতম। মহান আল্লাহ্ তায়ালা শিরককারীকে কখনো ক্ষমা করবেন না। আমাদেরকে সতর্ক করার জন্য মহান আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনের অনেক যায়গায় অনেক আয়াত অবতীর্ণ করেছেন।
মহান আল্লাহ্ তায়ালা বলেছেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ্ তাঁর সাথে কাউকে শরিক করা ক্ষমা করবেন না। এছাড়া অন্যান্ন গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। কিন্তু যে আল্লাহর সাথে শিরক করে সে মহাপাপী”। (সুরাহ নিসা আয়াত ৪৮)
কেউ আল্লাহর সাথে শিরক করলে সে মারাত্মকভাবে পথভ্রষ্ট হয়। শিরক হচ্ছে আল্লাহ্ তায়ালার সত্তা এবং তাঁর গুণাবলী যা বলা হয়েছে সেসব বিষয়ে অন্য কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা। যারা আল্লাহর সাথে শিরক করে তাদেরকে কুরআনের ভাষায় মুশরিক বলা হয়। তারা অনন্তকাল জাহান্নামে অবস্থান করবে। পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ্ তায়ালা শপথ করে বলেছেন মুশরিকরা জাহান্নামী।
সুরাহ লুকমানের ১৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, হযরত লুকমান (আঃ) তাঁর পুত্রকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেন, হে পুত্র! আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক কর না, নিশ্চয়ই শিরক মহাপাপ।
১৫ নং আয়াতে বলা হয়েছে, “যদি তোমার মা-বাবা আমার সাথে এমন কিছু নিয়ে শরিক করতে চাপা চাপি করে যার সম্পর্কে তোমার কোন ধারনা নেই তাহলে তুমি তাদের কথা মানবে না”
হযরত লুকমান (আঃ) এর বানীসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আকিদাসমুহকে শুদ্ধ করা। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মহান আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে কোনোভাবে শরিক না করা। আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কাউকে প্রভু বলে স্বীকার না করা। আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কাউকে সিজদাহ না করা। মোট কথা আল্লাহ্ তায়ালার স্থানে অন্য কাউকে স্থান না দেয়া, যদি কেউ এটা করে তবে সে মুশরিকের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। আর তার পরিণাম চিরস্থায়ী জাহান্নামী।
যদি কোন মাতা-পিতা তার সন্তানকে শিরক করতে বলে তাহলে সেই মাতা পিতাকে ত্যাগ করা আবশ্যক। এক্ষেত্রে তাদের নির্দেশ মানা যাবে না।
মোটকথা শিরক খুব মারাত্মক একটি অপরাধ যা মৃত্যুর আগে খাঁটি মনে তওবা না করলে মহান আল্লাহ্ তায়ালা তা কখনো ক্ষমা করবেন না। তাই আমাদের সচেতন হওয়া জরুরী। যেন আমরা শিরকের মত জঘন্য অপরাধ গুলো এড়িয়ে চলতে পারি। আমরা যেন শিরক থেকে মুক্ত থাকতে পারি, মহান আল্লাহ্ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে সেই তৌফিক দান করেন, আমীন।