আমরা বিভিন্ন সময় অবশিষ্ট অথচ মূল্যবান খাদ্যদ্রব্য ফেলে দেই। এতে আমরা যথেষ্ট অপচয়ের সম্মুখীন হই। একটু হিসাব করলেই আমরা এ অপচয় থেকে অব্যহতি পেতে পারি। অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য দিয়ে অনায়াসে নতুন ও সুস্বাদু কোন খাদ্য তৈরি করতে পারি। আজকে আপনাদের জন্য রইলো সেরকমই কিছু টিপস।
- অবশিষ্ট খাদ্যদ্রব্য দিয়ে চমৎকার স্যানডউইচ অথবা স্ন্যাক্স বানানো যায়। অবশিষ্ট কাস্টারডের তলানির সঙ্গে ডিম মিশিয়ে চমৎকার ওমলেটও বানানো যায়।
- একই তেলে অন্যকিছু ভাজতে হলে প্রথমে আলুর কয়েকটি ফালি ভেজে ছেঁকে নিন। আলু আগে ভাজা দ্রব্যটির গন্ধ শুষে নিবে।
- যদি কয়েক ফোঁটা লেবুর রস দরকার হয়, তাহলে আস্ত লেবু কাটার দরকার নেই। একটা শিক দিয়ে লেবুটি ছিদ্র করে চিপে কয়েক ফোঁটা রস বের করে নিন।
- দুধ বাসি হলে সেটি দিয়ে ফিরনি, সেমাই, পুডিং ইত্যাদি তৈরি করতে পারেন। আর দুধ যদি ফেটে যাওয়ার উপক্রম হয় বা ফেটে যায় তাহলে একটু লেবুর রস মিশিয়ে জাল করে নিন। চমৎকার ছানা তৈরি হবে।
- রসমালাইয়ের রস কিন্তু বেশিক্ষণ ঘরে রাখা যায় না। নষ্ট হয়ে যায়। তাই ১ চা চামচ পরিমান দই নিয়ে রসমালাইয়ের পাত্রে রেখে দিন। খেতে পারবেন অনেক সময় ধরে।
- বাসি তরকারির মধ্যে কিছুটা ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে দিন। এবার এতে লেবুর রস মিশিয়ে উনুনে নেড়েচেড়ে গরম করে নিন। দেখবেন তরকারীটা তাজা হয়ে উঠেছে।
- লবন যাতে দলা না বাঁধে সেজন্য কয়েক দানা আতপ চাল লবণের পাত্রে রেখে দিবেন।
- কাঁচা মরিচ বেশি দিন ঘরে রাখতে চাইলে হলুদের গুঁড়া মেখে কাচের বয়ামে ভরে ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন।
- ডিম বেশ কিছুদিন ঘরে রাখতে চাইলে ডিমের গায়ে গ্লিসারিন মেখে রাখুন।
- ঘিয়ের গন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখতে চাইলে ঘিয়ের পাত্রে সামান্য আখের গুঁড় রেখে দিন।
- পনির সহজে নষ্ট হবে না যদি সিরকা ভেজানো ন্যাকড়া দিয়ে পনির পেঁচিয়ে ঠাণ্ডা জায়গায় রেখে দিন।
- পাকার পর কলা ফ্রিজে রেখে দিন। খোসা বাদামি হবে কিন্তু ফলের কোন ক্ষতি হবে না।
- দুধের বোতলে ১ চিমটি বাই-কার্বোনেট আর সোডা মিশিয়ে নিন। অতিরিক্ত গরমেও দুধ নষ্ট হবে না।
এভাবে আরও অনেক ছোটখাটো টিপস আছে যেগুলো সূক্ষ্ম বুদ্ধি দিয়ে একবার প্রয়োগ করে দেখুন। কিছু ম্যাজিক আপনি ও পেতে পারেন।