একটি সম্পর্ক গড়ে উঠতে অনেক সময় লাগে। দীর্ঘদিনের চেনা জানার মধ্য দিয়ে তৈরি হয় একটি ভালো সম্পর্ক। অনেক কষ্ট এবং ত্যাগ স্বীকার করে যে সম্পর্ক অনেক গভীরে নিয়ে এসেছেন অল্প কিছু ভুলের জন্য সেটি কি আপনি ভেঙ্গে দিতে পারবেন? আপনি হয়ত চান না কিন্তু কিভাবে যেন দূরত্বটা তৈরি হচ্ছেই। কি সমস্যা হচ্ছে খুঁজে বের করুন এবং সমাধানের চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন সম্পর্ক তৈরি করা অনেক কঠিন কিন্তু ভেঙ্গে দেয়া খুবই সোজা। চলুন আমরা আজকে দেখবো কিভাবে একটি সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদী করবেন।
১. ছোট খাটো ভুল-ত্রুটি গুলোকে বড় করে তুলবেন না
ভুলত্রুটি মিলিয়েই মানুষ। একটি মানুষ কখনো একদম পারফেক্ট হতে পারবে না হোক সে ছেলে অথবা মেয়ে। জীবনে চলার পথে যদি আপনার সঙ্গীটি কিছু ভুল করেই ফেলে সেগুলোকে অগ্রাহ্য করুন। আর যদিও খুব বড় ভুল করে ফেলে আপনি সময় নিয়ে তাকে বুঝান। একটি সম্পর্ক যত সামনের দিকে এগুবে তত একে অপরের ভালো-মন্দ উভয় দিকই খুঁজে পাবেন। তাই বলে কি আপনি আপনার সঙ্গীর ভাল যেগুলো শুধুমাত্র সেগুলোই মেনে নিবেন? খারাপ অভ্যাস গুলোর জন্য তাকে দোষারোপ করবেন? কেন আপনি কি পারেন না তার খারাপ দিকগুলো বদলে দিতে? তার ভুলত্রুটি গুলো হয়ত খুব সহজেই সে ঠিক করতে পারবে না। এক্ষেত্রে আপনি ধৈর্যশীল এবং সহানুভূতিশীল হোন।
২. তৃতীয় ব্যক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দিবেন না
নিজেদের মধ্যে যা কিছু হয়ে যাক না কেন ভুলেও তা জনসমক্ষে আনবেন না। নিজেদের সমস্যা নিজে নিজে বসে ঠাণ্ডা মাথায় সমাধানের চেষ্টা করুন। নিজেদের সম্পর্কে অন্য কাউকে হস্তক্ষেপ করতে দিবেন না। আপনি কাউকে যদি জীবনসঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে চান তখন শুধুমাত্র আপনার মনের কথা শুনুন। আপনার বুদ্ধি দিয়ে বিশ্লেষণ করুন সে কি আপনার জন্য ঠিক নাকি ঠিক নয়। এক্ষেত্রে আপনার কোন বন্ধু বা আত্মীয় স্বজন কারো মতামতকে প্রাধান্য দিবেন না। কে কি ভাবল তা নিয়ে কখনো মাথা ঘামাবেন না। এতে আপনারই ক্ষতি সবচেয়ে বেশী হবে।
৩. সঙ্গীটির কাছ থেকে কিছু লুকোবেন না
সবসময় নিজের কাছে স্বচ্ছ থাকুন। আপনার জীবনের ছোট খাটো ঘটনাগুলো তার সাথে শেয়ার করুন। সারাদিন কি কি করলেন, দিনের কোন মজার ঘটনা হোক বা কোন তিক্ত ঘটনাই হোক না কেন আপনার সঙ্গীর সাথে গল্পের মত করে শেয়ার করুন। দুজনের মাঝে কোন পর্দা রাখবেন না। এমন কোন কথা তাকে বলবেন না যাতে পরে নিজেই তার মুখোমুখি হতে না পারেন।
৪. তাকে সময় দিন
আপনার সঙ্গীটির সাথে সময় উপভোগ করুন। দিনে এক ঘণ্টা হলেও। তবে ওই সময়টা একান্তই আপনাদের নিজেদের। সময় না দিতে পারাটাও সম্পর্কে দূরত্ব সৃষ্টি হওয়ার কারন। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে আপনার স্বাধীনতা ভুলে যেতে বলছি না আমরা। একসঙ্গে কিছু সময় কাটালে আপনি কখনো তার থেকে দূরে যেতে পারবেন না। বিশেষ মানুষটার স্থান সবার থেকে আলাদা হওয়া উচিত এই কথাটি শুধু আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিলাম।
৫. নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ঠিক রাখুন
আপনার মনে কি চলছে সেটি প্রকাশ করুন। মনে চেপে রাখবেন না। তার সাথে আপনার অনুভূতি গুলো শেয়ার করুন। আপনার ভাল লাগা মন্দ লাগা সবকিছু তাকে খুলে বলুন। সব সময় যে আপনার সঙ্গী আপনার মনের কথা পড়ে নেবে তা তো নয়। আপনি যদি তেমনটি চান তাহলে তো তাকে জ্যোতিষ বিদ্যায় পারদর্শী হতে হবে। একে অপরের সুবিধা অসুবিধা গুলো বুঝার চেষ্টা করুন।
মেনে চলুন সম্পর্ক ভালো রাখার উপায়গুলো। আপনার সম্পর্ক টিকে থাকুক যুগ যুগ ধরে এই আমাদের প্রত্যাশা।