২০১৬ এর জানুয়ারিতে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স গ্রহনের হার ১.১৫ বিলিয়ন ডলার যা ২০১৫ এর জানুয়ারি মাসের তুলনায় ৭.২৫ শতাংশ কম।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ডিসেম্বর সাথে তুলনা করলে বছরের প্রথম মাসে রেমিটেন্স প্রাপ্তি ১২.২১ শতাংশ নিচে নেমে গেল।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রেমিট্যান্স বাবদ আসা আয় খুবই ঊর্ধ্বমুখী ছিল। প্রতিমাসে গড়ে ১.২-১.৫ বিলিয়ন ডলার আসে। কিন্তু বছরের শুরুতেই এবার বড়সড় একটি ধাক্কা লাগলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য ব্যাপকহারে কমে যাওয়ার কারনে দেশের রেমিট্যান্স আয় কমতে শুরু করেছে।
বাংলাদেশে রেমিট্যান্স আসার ক্ষেত্রে সৌদি আরব প্রথম স্থানে, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অর্থনৈতিক বৈরিতার কারনে তারা অভিবাসী শ্রমিকদের ও কাজে রাখতে পারছে না।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বাংলাদেশের অভিবাসী শ্রমিকরা তাদের কাজের নির্ধারিত সময়ের বাইরে যে ওভারটাইম করতেন সেটির পরিমান কমে গেছে। যে কারণে অনেক শ্রমিক আগের মত টাকা পাঠাচ্ছেন না দেশে বা পাঠালেও আগের তুলনায় অনেক কম পরিমাণ টাকা পাঠাচ্ছেন।
তেলের মূল্য হ্রাসের কারণে মধ্য প্রাচ্যে অনেক ছোট-খাটো তেলের কোম্পানি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এর ফলে অনেক শ্রমিক তাদের চাকরি হারাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এখন তেলের দাম এভাবে কমে কতদিন সেটিই দেখার বিষয়। কিছু কিছু কোম্পানি টিকে থাকলেও এই প্রবণতা অনেক দিন চলতে থাকলে খুব বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিবে। রেমিট্যান্স কমলেও তেলের দাম হ্রাসের কারনে তেল আমদানিতে অনেক টাকা সাশ্রয় হচ্ছে। রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় যে ক্ষতি হচ্ছে সেটি কি পুষবে তেল আমদানি থেকে সাশ্রয় করা অর্থ দিয়ে?